সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ। লাগাতার বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় ধাক্কা খেয়েছে টিকাকরণ অভিযান। বিপদ আরও বাড়িয়ে বিধিনিষেধ না মানার অভিযোগ উঠছে বারবার। এহেন সংকট কালে পরিস্থিটি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার সেনা মোতায়েন করতে পারে হাসিনা সরকার।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের আপত্তি, বাংলাদেশের ফুলবাড়িতে থমকে সড়ক তৈরির কাজ]
বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে আপাতত সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ পালন করা হবে। পরে প্রয়োজন হলে তা আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, “এবার এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বলবৎ করার জন্য পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।” উল্লেখ্য, গতকাল বা শুক্রবার রাতে সরকারের তরফে জানানো হয়, ২৮ জুন সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গোটা দেশে শাটডাউন চলবে। এই সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বেরতে পারবেন না। তথ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে সাতদিনের জন্য এই বিশেষ লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। কীসে কীসে ছাড়, তাও জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সংবাদমাধ্যমকে এই শাটডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ রুখতে এই ক্ষেত্রে ভারতের দিল্লি ও মুম্বইয়ের সাফল্যের চিত্র দেখেই এই পথে হেঁটেছে হাসিনা (Sheikh Hasina) প্রশাসন।
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে টিকা জোগান দেওয়ার কথা বলছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এর জন্য কোভ্যাক্স-সহ একাধিক ভিন্ন প্রকল্পও রয়েছে। তবুও পর্যাপ্ত প্রতিষেধক পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই বিষয়ে সম্প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেন এ কে আবদুল মোমেন। বলে রাখা ভাল, গত বছরের শেষ দিক থেকে কয়েক মাস করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছিল। তবে এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে আবার বিধিনিষেধের আওতায় আসে দেশ। কিন্তু টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় ফের বিপদ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।