সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯’এর টিকা কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবুও করোনা মোকাবিলায় প্রতিষেধকের জন্য চিনের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে ঢাকা। এবার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) নিয়ে চিনা কোম্পানি আনুই জিফেইয়ের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণের কথা ভাবছে হাসিনা সরকার।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে মায়ানমারকে চিঠি, ফের চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ]
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯’এর (COVID-19) টিকা কেনার জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা জমা দিচ্ছে বাংলাদেশ। ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে খবর, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম অগ্রিম টাকা হিসেবে এই ৬০০ কোটি টাকা এখন নেবে এবং বাকি অর্থ টিকা সরবরাহ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের কাছ থেকে পাবে। সব ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ টিকা আনতে পারবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মহম্মদ খুরশিদ আলম। এহেন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, চিনের আনুই জিফেই গত ২ সেপ্টেম্বর তাদের তৈরি আরভিডি-ডিমার নামের করোনা টিকার পরীক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়। তারা বলেছে, নিজস্ব খরচে তারা টিকার পরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষা সফল হলে বাংলাদেশে টিকার গবেষণা ও উৎপাদনের জন্য কারখানা করার উদ্যোগও নেবে।
এই বিষয়ে সংবাদমধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে পরীক্ষার অনুমোদন পেতে আনুই জিফেইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও বিএসএমএমইউ সূত্রে খবর, আনুই জিফেইকে বেশ কিছু শর্ত মেনে বিস্তারিত প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে অন্যতম হল, আনুই জিফেই যদি পরীক্ষা করতে চায়, তাহলে চিন সরকারকে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিতে হবে। এ সিদ্ধান্ত এল চিনা প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তাব দেওয়ার প্রায় চার মাসের মাথায়। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকার পরীক্ষার ব্যাপারে বাংলাদেশকে রাজি করতে তৎপর বেজিং। শীঘ্রই চিনের রাজনৈতিক মহল ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাচ্ছে। টিকার প্রস্তাবের বিষয়টি সুরাহার জন্য এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হতে পারে।