সুকুমার সরকার, ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএনপি নেতৃত্বাধীন সদ্য গঠিত ‘ঐক্যফ্রন্টে’র বিএনপিকে মুখ এবং ড. কামাল হোসেনকে মুখোশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইনু বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন নিজে নির্বাচন করবেন না, রাষ্ট্রীয় পদে যাবেন না, তবে উনি কি শয়তান দিয়ে ফেরেশতার সরকার করবেন? সুতরাং ড. কামাল হোসেন যদি মনে করেন উনি রাজনীতির ওয়াশিং মেশিন হয়ে বিএনপির সব অপরাধ দুষ্কর্ম ধোলাই করে সব পরিষ্কার করে দেবেন সেটা ভুল।’ শনিবার বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় নিজ জেলা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় তথ্য ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন। ইনু বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির আড়ালে রয়েছে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির উদ্দেশ্য। তারা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপি জামাতকে রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসন করতে চায়। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর মানে হচ্ছে রাজাকার-জঙ্গির কাছে দেশটাকে ইজারা দেওয়া। এই মুহূর্তে যে ঐক্যটা হয়েছে সেটা ঐক্য নয়, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা।
[ঐতিহ্য ফেরাতে পুতুলনাচ শিল্পীদের ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ হাসিনা সরকারের]
অন্যদিকে, বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ৩০ অক্টোবর থেকেই কাউন্ট ডাউন শুরুর ঘোষণা দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কে এম নূরুল হুদা। শনিবার খুলনায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর। ইসি বলেন, ‘৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের ক্ষণ গনণা বা কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যাবে। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনুমোদন করলে নভেম্বরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হতে পারে। সিইসি আরও বলেন, ‘আইনি জটিলতা না থাকলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চালু হতে পারে। আর এ জন্যই আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা সংসদে উঠবে। সংসদে পাস হলেই ইভিএম চালু হবে। তার আগে ইভিএম নিয়ে জনসচেনতা সৃষ্টির কাজ চলছে। ইভিএম চালু হলেই শুধু হবে না। জনসচেতনতাও প্রয়োজন রয়েছে।
[হাসপাতালে বিশ্বের ‘সবচেয়ে লম্বা’ মানুষ, চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন হাসিনা]