সুকুমার সরকার ও বিধান নস্কর, ঢাকা ও দমদম: বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতায় এসে পৌঁছল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ হারুণ অর রশিদ। রবিবার সকালেই ঢাকা থেকে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলটি রওনা হয়। দুপুর ১২টার আগেই তাঁরা দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হারুণ অর রশিদ। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি সবিস্তারে জানান। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে এবং সিআইডি-র সহযোগিতা চান বাংলাদেশের গোয়েন্দারা।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের (Bangladesh) গোয়েন্দা প্রধান জানান, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহিনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের ডিজির মাধ্যমে আবেদন করা হবে। ইন্টারপোলের সাহায্য চাইবেন তাঁরা। গোয়েন্দা প্রধান হারুণ জানান, ''শাহিন এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে নিশ্চিত করেছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। যেহেতু ঘটনাটি আমাদের দেশের বাইরে পুরো কলকাতায় (Kolkata) ঘটেছে, তাই আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জায়গাটি আগে পরিদর্শন করতে চাই। এর পর গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর জন্য আমরা কলকাতা পুলিশের সহযোগিতা চাইব।'' ঢাকার তদন্তকারী দলের অন্য দুই সদস্য হলেন, ওয়ারি বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আবদুল আহাদ ও এডিসি শাহিদুর রহমান। জানা যাচ্ছে, সিআইডি-র (CID) সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত করবে। নিউটাউনের যে আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করা হয়েছিল, সেই ঘটনাস্থলে যাবেন বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কালীঘাটে সিপিএমের প্রচারে ‘পুলিশি বাধা’, ‘কমিশন ঘুমোচ্ছে’, তোপ মীনাক্ষীর]
এদিকে, হত্যার 'পরিকল্পনাকারী' আক্তারুজ্জামান শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা সিআইডি-র। সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদনমাধ্যমকে বলেছেন, ''মার্কিন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, কিন্তু ভারতের আছে। আমরা শাহিনকে ভারতে প্রত্যর্পণের পরিকল্পনা করছি, কারণ অপরাধটি আমাদের রাজ্যে ঘটেছে। এ মামলার অন্যতম আসামি আক্তারুজ্জামান শাহিন, এমপি আনোয়ারুল আজিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচিত। আসামি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকে। তার মার্কিন নাগরিকত্ব রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।''
[আরও পড়ুন: ভিসা সমস্যায় আটকে বিরাট! বিশ্বকাপ খেলতে দলের সঙ্গে যেতে পারলেন না কোহলি]
শাহিনকে নাগালে পেতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভারত, নেপাল, ইন্টারপোল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে বলে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানান, আখতারুজ্জামান শাহিন মূল সন্দেহভাজন এবং পলাতক। তাকে বিচারের আওতায় আনতে ভারত, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চাওয়া হয়েছে।