সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শাস্তি ফাঁসি। গত বছরই এই আইন পাশ হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংসদে। রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করে আইন কার্যকর করায় সম্মতিও দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও নৃশংস এই অপরাধের প্রবণতা কমছে কই? এবার এমনই ঘটনা ঘটল রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা কলাবাগানে। ধর্ষণের (Rape) শিকার এক ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। তাকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকেনি অত্যাচারীরা। ধর্ষণের পর অপরাধ লুকাতে হত্যা (Murder) করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। অভিযোগ, এমন জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করেছে তারই চার বন্ধু মিলে। চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এই ঘটনা ঘটে। ইংরাজি মাধ্যম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় তার চার বন্ধু। অভিযোগ, এরপর ধর্ষণ করা হয় মেয়েটিকে। প্রমাণ লোপাট করতে তাকে খুন করা হয়। তবে শেষমুহূর্তে কিছু একটা ভেবে তার এক বন্ধুই মেয়েটিকে নিয়ে যায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শারীরিক পরীক্ষার পর বোঝা যায়, মেয়েটি গণধর্ষণের শিকার। এরপর হাসপাতাল থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং দিহান নামের যে ছেলেটি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, তাকে আটক করে।
[আরও পড়ুন: সাজা শেষেও ফেরা হল না দেশে, বাংলাদেশের কারাগারে মৃত্যু ভারতীয়র]
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহম্মদ সাজ্জাদুর রহমান জানান, ”আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা মেয়েটির লাশ উদ্ধার করেছি। তাকে হাসপাতালে আনার পর কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করে। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে বন্ধু দিহান, যাকে আমরা আটক করি। পরবর্তীতে হাসপাতালে তার আরও তিন বন্ধু আসে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা হেফাজতে রেখেছি।” ডিসি আরও জানিয়েছেন যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা (Dhaka) মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বন্ধুদের হাতেই মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে মুহ্যমান তার পরিবার।