সুকুমার সরকার, ঢাকা: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে পরিবহণ বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। নদীমাতৃক দেশটির দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব নিমেষে ঘুচিয়ে দিয়েছে ব্রিজটি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের তোপ, ‘হাজারটা পদ্মা সেতু করেও লাভ নেই।’
কেন এহেন মন্তব্য করলেন তিনি? সম্প্রতি, পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের জনগণ আমাদের পাশে থেকে বারবার ভোট দিয়েছে। আমাদের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে।” তারই পালটা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনও লাভ হবে না। মঙ্গলবার ঢাকার গুলশনে দলীয় কার্যালয়ে সংবদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “আইয়ুব খানও পাকিস্তানের উন্নয়ন করেছিলেন। কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, গণতন্ত্র যদি না থাকে, ভোটাধিকার যদি না থাকে, সেখানে কিন্তু কোনও লাভ হয় না। হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনও লাভ হয় না।”
[আরও পড়ুন: ফের ‘আম কূটনীতি’ শেখ হাসিনার, এবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পাঠালেন আম্রপালি]
বংলাদেশে একের পর এক নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দল বিএনপি। ২০১৮ সাধারণ নির্বাচন বয়কট করে তারা। তারপর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও কারচুপির অভিযোগে অংশ নেয়নি দলটি। এবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিঁধে মির্জা ফখরুল ইসলামের বলেন, “মানুষ ভোট দিতে পারছে কোথায় যে জনগণের আস্থাটা তিনি গ্রহণ করছেন। তিনি তো কাগজে-কলমে সিল মেরে আগের রাতে ভোট দিচ্ছেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের মতো আরকি। স্বচ্ছ নির্বাচন করে দেখুন না, তাঁদের প্রতি কতটুকু আস্থা আছে?”
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দায়ে কারাগারে নেত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর পুত্র তারেক জিয়াও বিদেশে। ফলে বাংলাদেশে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বিএনপি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আটদিন বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রবিবার সুস্থ হন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তারপরই গুলশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন তিনি। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।