সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) লাগাতার চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাচারচক্র ভেঙে দিতে অত্যন্ত তৎপর হয়েছে প্রশাসন। কিন্তু এরপরও মায়ানমার থেকে দেশে ঢুকছে মাদক। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লক্ষাধিক ইয়াবা ট্যাবলেট।
[আরও পড়ুন: ভারতে আটক তবলিঘি জামাতের সদস্যদের মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ বাংলাদেশের]
জানা গিয়েছে, গোপন খবরের উপর ভিত্তি করে শুক্রবার ভোরে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বড়খাল সংলগ্ন নাফ নদীতে অভিযান চালায় বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। পাচারকারীদের সন্ধানে সার্চ লইট জ্বালিয়ে গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তখনই এক ব্যক্তিকে বস্তা নিয়ে আসতে দেখা যায়, তাকে থামতে বলায় সে বস্তা ফেলে সাঁতরে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই বস্তা থেকে পলিথিনে মোড়া অবস্থায় ১ লক্ষ ৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সইয়দুল জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। উদ্ধার হওয়া মাদকগুলি টেকনাফ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গোটা দেশে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় এপর্যন্ত চারজন মহিলা-সহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৫১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।