সুকুমার সরকার, ঢাকা: গোটা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। মহামারীর প্রকোপে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশও (Bangladesh)। এই রোগের কোনও দাওয়াই না মেলায় টিকার উপরই ভরসা রাখছেন গবেষকরা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে শুরু হয়েছে গণটিকাকরণ। এহেন পরিস্থিততে টিকা নিয়েও করোনায় প্রাণ খোয়াতে হল সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসকে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মিলেছে করোনার নতুন স্ট্রেন, ফের বাড়ছে আতঙ্ক]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহমুদ উস সামাদ। তিনি সিলেট-৩ আসনে শাসক দল আওয়ামি লিগ থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব জুলহাস আহমদ। ৭ মার্চ রাতে মাহমুদ সিলেট থেকে ঢাকায় আসেন। সেসময় তিনি অসুস্থতা বোধ করায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ৮ মার্চ সকালে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর বিকেলে করোনা পজিটিভ ফল আসে। এরপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই করোনা টিকা নেন তিনি। ফলে সাংসদের মৃত্যুতে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে, টিকা নেওয়ার পর সস্ত্রীক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা কাজী হায়াত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি বাড়িতেই আছেন। গত ২ মার্চ স্বপরিবারে করোনার টিকা নেন হায়াত। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “গত ২ মার্চ করোনার টিকা নিয়েছি। এরপর গত ৬ মার্চ শরীরে হালকা জ্বর অনুভব হয়। ৮ তারিখ করোনা পরীক্ষা করার পর জানতে পারি, রিপোর্ট পজিটিভ।” উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৫০২ জন। এছাড়া নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৫৬ জনে।