সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। রবিবার এক অডিও বার্তায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সঠিক স্বাস্থ্য নির্দেশ মেনে দিবসটি উদ্যাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সরষে খেতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এঁকে তাক লাগালেন কৃষক!]
ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের প্রায় ১৭ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীকে ৪৫ সেকেন্ডের একটি অডিও বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা প্রেরণ করা শুরু করেছেন এবং এটি ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলেও জানান জব্বার। তিনি আরও বলেন, “মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর একত্রে অডিও বার্তা প্রেরণের ব্যবস্থা নেই, যে কারণে এটা পর্যায়ক্রমে প্রেরণ করা হচ্ছে।” এদিকে, নিজের বার্তায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “আসসালাম আলাইকুম, আমি শেখ হাসিনা। বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা এই দেশকে একটি উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পরিণত করার মাধ্যমে লাখ লাখ শহিদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সংক্রমণের গতি হ্রাস করতে আরও তৎপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন। তাই মহামারীর আবহে এবার বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ হবে না। এবার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান হবে সীমিত পরিসরে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ৩১ মে থেকে আবার অফিস খোলা হয়। কিন্তু শীত বাড়ার সঙ্গে পালা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতে কোভিড-১৯ (Covid-19)-এর দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। এর জন্য এখন থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা চালু করতেও উদ্যোগী হাসিনা সরকার। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনের নিয়মও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।