সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত বাংলাদেশি (Bangladesh) নাবিক হাদিসুর রহমানের বাড়িতে ইদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উৎসবের মরশুমে শোকগ্রস্ত হাদিসুরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি হোক ২০ হাজার, দাবি তুলে মে দিবসে মিছিল বাংলাদেশের শ্রমিক,কর্মচারীদের]
রবিবার দুপুরে বরগুনার বেতাগি উপজেলার কদমতলা গ্রামে হাদিসুরের পৈতৃক বাড়িতে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন সংরক্ষিত নারী আসন-১৫-এর সাংসদ সুলতানা নাদিরা। জানা গিয়েছে, সুলতানা নাদিরা হাদিসুরের মায়ের হাতে ইদের উপহার সামগ্রীর পাশাপাশি নগদ ৫০ হাজার টাকাও তুলে দেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসুরের বাবা মহম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মা আমেনা বেগম ও ছোটভাই গোলাম মাওলা। এদিন হাদিসুরের মা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আল্লা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) মাধ্যমে আমার ছেলের দেহ দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনেছেন।” এই সময় আবদুর রাজ্জাক ছোট ছেলের কর্মসংস্থানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
গত মার্চ মাসের ২ তারিখ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান। তারপর তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয় বাংলাদেশ সরকার। ওই দিন উত্তর কৃষ্ণসাগরের ধারে বন্দর শহরটিতে নোঙর করেছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। সেই জাহাজেই আছড়ে পড়ে রুশ গোলা। সঙ্গে সঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে জাহাজটি। মৃত্যু হয় জাহাজে কর্মরত হাদিসুরের। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফৌজ পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে কার্যত একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিত যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।