সুকুমার সরকার, ঢাকা: শান্তির সঙ্গে আত্মরক্ষার গুরুত্ব বুজিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি সাফ বার্তা দেন, বাইরের শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে বাঁচাতে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: সুদের টাকা ফেরত না পেয়ে ঋণগ্রহীতার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে! শোরগোল বাংলাদেশের মাগুরায়]
এদিন সেনাবাহিনীর আটটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর পটুয়াখালির লেবুখালিতে অবস্থিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসের অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখে তিনি বলেন, “যদি কখনো আমরা আক্রান্ত হই, সেটা মোকাবিলা করার মতো শক্তি যেন আমরা অর্জন করতে পারি, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। সেভাবেই আমরা তৈরি থাকতে চাই। আবারও বলব, আমরা শান্তি চাই। বন্ধুত্ব চাই। বৈরিতা চাই না, যুদ্ধ চাই না।”
অনুষ্ঠান চলাকালীন কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানো হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিয়েন বংলাদেশ (Bangladesh) সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে সদর দপ্তর ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড (চট্টগ্রাম), সদর দপ্তর প্যারাকমান্ডো ব্রিগেড (সিলেট), সদর দপ্তর ২৮ পদাতিক ব্রিগেড, ৪৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬৬ ইস্ট বেঙ্গল, ৪৩ বীর, ৪০ এসটি ব্যাটালিয়ন ও ১২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়নের আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেনাপ্রধান, সেনানিবাসের জিওসিসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে দেশের দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র সেনানিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পায়রা নদীর তীরে অবস্থিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমণ্ডিত এই সেনানিবাস প্রায় ১ হাজার ৫৩২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।