সুকুমার সরকার, ঢাকা: জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় এহেন হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পদক্ষেপ করার আরজি জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে টানাপোড়েন চিন-বাংলাদেশের, QUAD নিয়েও বেজিংকে কড়া বার্তা ঢাকার]
প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে শেখ হাসিনা লিখেছেন, “আমরা হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক এবং আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম প্যালেস্তিনীয় জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা প্যালেস্তাইন-সহ বিশ্বের যে কোনও দেশে এ ধরনের জঘন্যতম হামলার অবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে টেকসই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” শেখ হাসিনা চিঠিতে আরও লিখেছেন, “আমার দেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি আল আকসা মসজিদ এলাকায় বর্বরোচিত হামলায় নিরীহ ও সাধারণ জনগণের হতাহতের ঘটনায় দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছি।” প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনে ভ্রাতৃপ্রতিম প্যালেস্তিনীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বলে রাখা ভাল, গাজায় ইজরায়েলের বিমান হানায় শিশু-সহ মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। পালটা ইজরায়েলের শহরগুলিতে গাজা থেকে রকেট হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। এবার তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। ওই দিন রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বলে রাখা ভাল, আল আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান। পাশাপাশি, এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান। যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসাবে জানেন। এই জায়গায় এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ইজরায়েলের পুলিশ দাবি করেছে, ওই দিন সন্ধ্যার নামাজের পর হাজার হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে, বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে প্যালেস্তিনীয়দের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠেছে।