সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হানাহানি শুরু হয়ে গেল। মূলত টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় হানাহানির শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থান থেকে হানাহানির খবর মিলেছে। এতে একজন নিহত, কয়েকজন জখম ও দলীয় কার্যলয় পুড়িয়ে দেওয়ার খবর এসেছে। এরই মাঝে আওয়ামি লিগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। বিএনপি কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ওরা সন্ত্রাসী দল।” ঢাকার তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামি লিগ ভবন থেকে ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভারচুয়ালি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। জনগণ যাঁকে ভোট দেবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। কয়েক দফা রেলে আগুন দিল, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, কয়েকজন মারা গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেল্পার মারা গেল। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তা চলবে না।” বিএনপিকে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গেও তুলনা করেন হাসিনা।
[আরও পড়ুন: প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রনেত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ TMCP নেতার]
এদিকে, ঢাকার মাদারিপুরের কালকিনিতে ইস্কান্দার খান (৫২) নামে নির্দল প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে কালকিনির লক্ষ্মীপুর এলাকায় দুদিন আগে সংঘর্ষ ঘটে। তার জেরে ইস্কান্দার খানকে হত্যা করা হয়।
আবার এদিকে, পটুয়াখালির বাউফলে উঠান বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থকদের ওপর গুলি ছুঁড়েছে দুষ্কৃতীরা। এ সময় তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বগা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাবুপুরা গ্রামে এ ঘটনা। জখম হয়েছেন, আওয়ামি লিগ নেতা রেজাউল করিম, অলিউল ইসলাম ও ফেরদৌস মুন্সি। তাঁদেরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড বিশেষায়িত অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।