সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ডাকে কড়া বার্তা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। “কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবেন না”, সতর্কবাণী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার গণভবন থেকে ভারচুয়ালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
চলতি বছর বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) তেমন কোনও অশান্তি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সব ভেদাভেদ ভুলে বাঙালিরা সবসময় সব ধর্মের অনুষ্ঠান উৎসবে শামিল হয়। আমরা কিন্তু প্রতি উৎসবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে উৎসব উদযাপন করি। যে কারণে বলি, ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। সবার উৎসবই আমরা সম্মিলিতভাবে করে থাকি। বাংলাদেশ সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁরা বসবাস করেন বা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি যে ধর্মেরই হোক না কেন যার যার ধর্ম সমানভাবে পালন করবে।” প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, “দেশের কোনও এলাকায় সংগঠিত অপরাধকে বড় করে দেখাবেন না। বরং আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ ওই ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে নজর দিন।” এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্ব নেতারা আশঙ্কা করছেন ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে পৃথিবীতে। দেশের কোথাও এক শতাংশ জমি যেন অনাবাদী না থাকে। সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে সবাইকে।”
[আরও পড়ুন: ইজেডসিসির পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত বঙ্গ বিজেপির, ‘দম শেষ’, কটাক্ষ তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একের পর এক হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তারপর সে দেশে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ঢাকায় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসিনা। সেখানেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু ওই ঘটনার রেশ পড়ে ভারতেও। হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় কূটনৈতিক মঞ্চে ঢাকার কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করে নয়াদিল্লি।
অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে এবার আর না ঘটে তাই বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থাপনা করে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এছাড়া মণ্ডপ, দেবীপ্রতিমার নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও গঠন করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।