সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুর্গাপুজোর বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর হামলার নেপথ্যে পাকিস্তান। পাক ষড়যন্ত্রকারীদের নির্দেশেই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে জামাত-ই-ইসলামি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি। এমনটাই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদের।
[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটার আগেই সুখবর, দ্বিতীয় দফায় ওপার বাংলা থেকে রাজ্যে এল ২২ টন ইলিশ]
সম্প্রতি হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছেন সজীব। সেখানে জামাতকে ‘পাকিস্তানে শয়তান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীবের বন্তব্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের তাস খেলার দীর্ঘদিনের রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “বিএনপি জামায়াতের মত পাকিস্তানি রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় তাদের ধর্মের কার্ড খেলেছে, মুসলিমদের অমুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিণত করছে এবং মানুষের মধ্যে ভাব সৃষ্টি করছে। এবারও তাদের ব্যতিক্রম হয়নি।”
হসিনাপুত্রের অভিযোগ যে অমূলক নয় তা স্পষ্ট করে বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোয় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় এবার নাম জড়িয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। দুর্নীতি-সহ দেড় ডজন মামলা ঝুলছে স্বেচ্ছায় লন্ডন প্রবাসী তারেকের বিরুদ্ধে। এই কাণ্ডে বিএনপির সঙ্গী ছিল মৌলবাদী দল জামাতও। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোয় কুমিল্লা জেলায় পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দেবস্তীর সংখ্যাগুরু মুসলিম মৌলবাদীরা। রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে শুধু কুমিল্লায় ১০২টি মামলা ও আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার ৬১৯ জনকে। আর এ পর্যন্ত ৫৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।