সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্মীয় অশান্তিতে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এবার সেই ইস্যুতেই মুখ খুললেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সাম্প্রদায়িকতার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবেন না। সব ধর্মের স্বাধীনতা রয়েছে।”
মঙ্গলবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকার (Dhaka) ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভারচুয়ালি যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, “একদিকে ভোটের অধিকার অপরদিকে বাঙালি জাতির সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামি লিগ কাজ করছে। ৭১ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছেন। সেটাই আমরা করে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাধ্যমেই মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।”
[আরও পড়ুন: আচমকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তুঙ্গে BJP নেত্রীর দলবদলের জল্পনা]
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “দেশে বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষের বসবাস। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই দেশ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে। সব ধর্মের স্বাধীনতা বাংলাদেশে রয়েছে। কেউ কারো ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবেন না।”
সম্প্রতি নড়াইলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই দলীয় নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে শাসকদল আওয়ামি লিগ। অবশ্য নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর বিতর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাংলাদেশ। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে হিন্দু স্কুলশিক্ষককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তার। ওই টাকা দিতে না পারায় তাকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ বিচারকের।