সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশে অব্যাহত রক্তক্ষরণ। ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি। জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই পড়ুয়া। এক সাংবাদিকও রয়েছেন মৃতের তালিকায়। দেশের প্রশাসন সূত্রে খবর, কোটা বিরোধী আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংবাদসংস্থা এএফপির মতে সংখ্যাটা ৩২।
গত সোমবার থেকে ভয়ংকর আকার নিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Protest)। দিনভর একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। সূত্রের খবর, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের (TV Channel)সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে জোর করে। মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে একটি সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে পুলিশের দিকে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে শাসক দল আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, লাইনচ্যুত ১০-১২টি কামরা]
বাংলাদেশ প্রশাসনের মতে, বৃহস্পতিবার ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। তাদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মেহেদি নামে এক সাংবাদিক। তিনি স্থানীয় এক সংবাদপত্রে কর্মরত। তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়াও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মী এবং আন্দোলনকারীরা। উত্তাল বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। সরকারিভাবে আহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি বাংলাদেশের তরফে। তবে সূত্রের খবর, আহতের সংখ্যা শতাধিক।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। বিকেল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার মেট্রো পরিষেবা। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, অশান্তি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।