সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইয়াবা ও হেরোইনের ব্যবহার রুখতে গাঁজা খাওয়ার নিদান দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজস্ব বোর্ড প্রধান। প্রাক বাজেট আলোচনায় তাঁর এহেন মন্তব্যে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
[আরও পড়ুন: দেহ ব্যবসায়ীদের নিশানায় বাংলাদেশের কমবয়সি সুন্দরী মেয়েরা, পাচার করা হচ্ছে বিদেশে]
বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মহম্মদ রহমাতুল মুনিম বুধবার প্রাক বাজেট আলোচনায় বলেন, “আমি গাঁজার পক্ষে নই। কিন্তু গাঁজা দিয়ে হেরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিল ঠেকানো গেলে আমি গাঁজার পক্ষেই থাকব।” জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন ‘অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স’-এর বৈঠকে মুনিম বলেন, “কেবল করের হার আর দাম বাড়িয়ে তামাকজাত পণ্যের নিয়ন্ত্রণ কিংবা জনস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ ইমপ্যাক্ট হয় না। এ জন্য উচ্চবিত্ত তো নয়ই, নিম্নবিত্তের মানুষও নেশা ছাড়বে না। বরং সন্তানের পড়াশোনার খরচ কমিয়ে ওই টাকা নেশা করবে, কিংবা তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাবে।”
বিতর্ক উসকে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আপনারা তামাকের দাম বাড়াতে বললে তামাক কোম্পানিগুলো খুশি হয়, আমরা খুশি হই। কিন্তু দাম বাড়িয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, আপনাদের (তামাক বিরোধী জোট) এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দাম বাড়িয়ে ফেনসিডিল ও হেরোইনের দিকে ঠেলে দিতে চাই না।”
রাজস্ব বোর্ড প্রধানের দাবি, যখন গাঁজা সুলভ ছিল, তখন হেরোইন-সহ অন্যান্য মারাত্মক ক্ষতিকর নেশা এবং মানুষ খুনের মতো অপরাধ কেমন ছিল, আর বর্তমানে সে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়িয়েছে, তা সমীক্ষা করা দরকার। মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণের কারণে অন্যান্য ক্ষতিকর নেশা আরও বাড়ছে কিনা, তা সম্পর্কে জানার অনুরোধ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই তামাকবিরোধী সংগঠনগুলি তামাক ও নেশাদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে তামাকের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে। এনবিআরও বছর-বছর তামাকের ওপর বাড়তি কর আরোপের মাধ্যমে তামাকের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ সরকার তামাক খাত থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করছে, স্বাস্থ্য ক্ষতি তার চেয়েও বেশি।