সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের বাড়তে শুরু করেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। শীতের আগমন নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা? করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কেন বাড়ছে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন বিশেষজ্ঞরাও। তবে কি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এসেই গেল?
[আরও পড়ুন: রবিবার ভোট মায়ানমারে, রোহিঙ্গা নিপীড়নের আবহে ফের ক্ষমতা দখলের পথে সু কি]
ইতিমধ্যেই ঢাকায় শীতের আগমনী বার্তা ভালই জানিয়ে দিচ্ছে। ভোরে রাতের দিকে আর খালি গায়ে থাকা যাচ্ছে না। গ্রামের দিকে রীতিমতো লেপ নামাতে হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে শীত ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে কোভিড-১৯-কেও। যাই হোক, চলতি নভেম্বর মাসের শুরুর দিন থেকেই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে আবার ইউরোপে হু হু করে বাড়ছে রোগী। বাংলাদেশে ১ নভেম্বর রোগী শনাক্ত হয় ১,৫৬৮ জন। ৫ নভেম্বর ১,৮৪২ জন। গত ৫৬ দিনের মধ্যে একদিনে শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২.১০ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৭.৩০ শতাংশ। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ২১ জন। শুরুর দিকে করোনার সংক্রমণ কমের দিকে থাকলেও মে’র মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। যা চলতে থাকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তারপর থেকে শনাক্তের হার কমতে থাকে। ২৬ অক্টোবর দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা চার লক্ষ ছাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকে করোনা ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস (Beximco Pharmaceuticals)। একজন ব্যক্তির জন্য দুই ডোজ হিসেবে দেড় কোটি মানুষকে এটা দেওয়া হবে। ডোজের এই পরিমাণটা নিরাপদ ও কার্যকর বলেই প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অক্সফোর্ড টিকার অনুমোদন দিলে বাংলাদেশে এই টিকা আসবে। এখানে প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ৫ ডলার বা ৪২৫ টাকা।