সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের মাঝসমুদ্রে ভাসানচরে পাঠানো হল রোহিঙ্গাদের। উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২ হাজার ১৪৪ জন ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বুধবার ভোরে উখিয়ার ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তাঁদের সমুদ্রের মাঝে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়। চট্টগ্রামে পৌঁছনোর পর সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে দেওয়া হয় সকলকে।
বলে রাখা ভালো, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র মুখে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সবমিলিয়ে মিলিয়ে এখন ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে। ওই বছরের নভেম্বর মাসেই কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প শুরু করে সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে ভাসানচরে পাঠানো শুরু হয়। তার পর থেকে বেশ কয়েকবার রোহিঙ্গাদের মুদ্রের মাঝের বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের টানে পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে আসার চেষ্টা, বাধা পেয়ে এ কী করলেন বাংলাদেশি তরুণী!]
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-সহ মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত রাতে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। যাঁদের মধ্যে একজন আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড আবুল হাশিম। বাকিদের মধ্যে একজন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী ও আরসা সদস্য। উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের নাশকতার খবরে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে দুটি বিদেশি অস্ত্র, একটি এলজি ও চারটি কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছে।