সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এই মারণরোগের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ না থাকায় লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে প্রতিষেধক। তাই দেশে দ্রুত টিকাকরণ শেষ করতে চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের প্রায় ১০ কোটি করোনার টিকা (Corona vaccine) কিনতে যাচ্ছে ঢাকা।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: চারমাস পর ফের চালু কলকাতা-ঢাকা বিমান পরিষেবা]
সূত্রের খবর, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির জন্য কোভ্যাক্স প্রকল্পের ২০ শতাংশ বরাদ্দ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬ কোটি টিকা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ১ কোটি ২৫ লক্ষ টিকা পেয়েছে। চলতি মাসে আরও ৬০ লক্ষ টিকা আসার কথা। বাংলাদেশের প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, কোভ্যাক্স থেকে এই বছরের মধ্যে বাংলাদেশের উপহারের টিকা পাওয়ার কথা। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা কেনার কথা ছিল। এখন সেই টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আগেভাগে কেনা হচ্ছে। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে কেনা টিকা অক্টোবর থেকে দেশে পৌঁছানো শুরু হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বছরের শেষ প্রান্তিক থেকে ১০ কোটির বেশি টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে। এই টিকা হবে চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে টিকা কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল বাংলাদেশ। তবে সময়মতো টিকার জোগান দিয়ে উঠতে পারেনি সেরাম। আর সেই অছিলায় ঢাকার উপর প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া বেজিং।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে ‘বঙ্গভ্যাক্স’। চাহিদা মতো টিকা না পেয়েই টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। এবার এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। গত জুন মাসে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের করোনা টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’-এর ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশে করোনার (Corona Virus) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত সতর্ক। সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৬টি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে বঙ্গভ্যাক্স।