সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের শীর্ষপদে এই প্রথম আদিবাসী সমাজের কোনও প্রতিনিধি বসায় ভারতে উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে, দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ে বাংলাদেশে আনন্দ সমাবেশ হয়েছে।
ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনন্দ সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেন তাঁরা। নাচগান, সংগীতে অনন্দমুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ। আনন্দ সমাবেশে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি আনন্দের দিন। এটা নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে ভূমিকা রাখবে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ‘বিকৃত’ ছবি পোস্ট, রোষানলে ঢাকার পাক হাইকমিশন]
সমাবেশে সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলেন এনাস হাঁসদা। তিনি বলেন, “মনোনয়নের দিন থেকেই আনন্দে ছিলাম। সাঁওতাল হিসেবে এটা আমাদের জন্য আনন্দ আর গর্বের। আমাদের অনুরোধ, তিনি যেন বাংলাদেশে আসেন এবং আমাদের দেখে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।”
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশায় জন্ম দ্রৌপদী মুর্মুর। অর্থাৎ জন্মদিনের একদিন পরে পেলেন সুসংবাদ। বছর চৌষট্টির দ্রৌপদীর রাজনৈতিক জীবন আড়াই দশকের। বিভিন্ন সময়ে নানা দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে প্রথমবার কাউন্সিলর হন। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পান। ওই রাইরংপুর থেকেই ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিজেপি বিধায়ক হন। দলে একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন। ওড়িশার (Odissa) আদিবাসী মুখ হিসেবে তাঁকে তুলে ধরে গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রে ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রী। ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা সভাপতিও হন দ্রৌপদী। রাজ্যপালের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন।