সুকুমার সরকার, ঢাকা: মসনদে বসেই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর লাগাতার অভিযানে অনেকটাই কোণঠাসা মাদক পাচারকারীরা। তবে সম্প্রতি মায়ানমার (Myanmar) থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা ঢুকছে দেশে। ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হয়েছে দুই ইয়াবা পাচারকারী।
[আরও পড়ুন: নতুন রুটে ঢাকা-NJP যাতায়াতের খরচ কত? রেলপথের ভাড়া স্থির করল বাংলাদেশ]
সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ জানিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আলুগোলার মৎস্যখামার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে দু’জন ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে। তবে তাদের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি বন্দুক ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, গুলির লড়াইয়ে নিহত দুই ব্যক্তি মায়ানমারের নাগরিক। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ্র দেব স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, “গতকাল রাতে বিজিবির সদস্যরা চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মধ্যে দু’জন সাধারণ পোশাকের ও দু’জন বিজিবির সদস্য। হাসপাতালে আনার আগেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স আনুমানিক ২০ ও ৩৫ বছর। নিহতদের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন ছিল। আহত দুই বিজিবি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এপর্যন্ত চারজন মহিলা-সহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৭৯ জন পাচারকারী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুই মহিলা-সহ ১০৮ জন মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। শুধু টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গিয়েছে ১৬৫ জন। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।