সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আরও তীব্র মাদক বিরোধী অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে দুই কুখ্যাত রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী। নিহতদের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ, সতর্ক নজর রাখছে হাসিনা সরকার]
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে বান্দারবনের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় পাচারকারীদের। বেশ কিছুক্ষণ চলে সংঘর্ষ। তারপর ঘটনাস্থল থেকে দুই কুখ্যাত রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারীদের দেহ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে পাওয়া যায় এক লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট, দু’টি একনলা বন্দুক এবং কার্তুজ। এই ঘটনায় বিজিবি’র দুই সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত পাচারকারীদের নাম ও পরিচয় জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নিহতরা উখিয়ার কুতুপালং লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ ব্লক-বি/৩-এর বাসিন্দা ফোরকান আহমদের ছেলে জোবায়ের (৩০) ও একই ক্যাম্পের-১ ব্লক-সির বাসিন্দা মৃত আমির হামজার ছেলে দিল মহম্মদ (২৫)।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক ইয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি ইয়াবা কারবারির দলকে মায়ানমার থেকে আসতে দেখে রেজুপাড়া বিজিবি সদস্যরা তাদের থামতে বলেন। কিন্তু পাচারকারীর নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। বিজিবি সদস্যরা পালটা গুলি করলে তারা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই ইয়াবা কারবারির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, অন্য একটি ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে ইয়াবা-সহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের অলিপুরা ব্রিজের পাশে বেলপাড়া তিন রাস্তার মোড় থেকে ইয়াবা-সহ জাম্মেল (২৮) নামের ওই মাদক কারবারিকে তালতলা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ধৃত মোজাম্মেল সোনারগাঁওয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের মারবদী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।