সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারারুদ্ধ করে রাখতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনুস সরকার! দেশদ্রোহ মামলার পর এবার খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করল পুলিশ। সূত্রের খবর, চট্টগ্রাম থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন ইসকন ভক্তের বিরুদ্ধেও। আগামী ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে চিন্ময় প্রভুর মামলার শুনানি। তার আগে যুক্ত করা হল খুনের চেষ্টার মামলা।
গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন ইসকনের সন্ন্যাসীস চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। আগেই দেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল তাঁর এবং আরও ৭০ জনের বিরুদ্ধে। চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তারির পর তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি দেশদ্রোহ মামলা দায়ের করে পুলিশ। চট্টগ্রামের সংশোধনাগারে বন্দি করা হয় তাঁকে। গত ২ ডিসেম্বর আদালতে এই মামলার শুনানি থাকলেও তার আগে সন্ন্যাসীর আইনজীবীদের উপর লাগাতার হামলার জেরে কেউই সেদিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ফলে শুনানি পিছিয়ে যায় একমাস। আগামী ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময় প্রভুর দেশদ্রোহ মামলার শুনানি। তবে তার আগে সন্ন্যাসীকে কারারুদ্ধ করতে আরও মামলার ভার চাপানো হল।
এই মুহূর্তে চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি ও দেশদ্রোহ মামলা নিয়ে ঘরেও প্রবল চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কেন একজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা? এই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের সাহিত্যিক। একই ইস্যুতে ইউনুসকে সতর্ক করেছেন সে দেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদও। রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কেউ যাতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।” লন্ডনে রবিবার আওয়ামি লিগের এক অনুষ্ঠানে ভারচুয়াল বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনাও এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, একজন সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ তাঁর জন্য কোনও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। আইনজীবী দেওয়ার দায়িত্ব তো সরকারের। তাহলে কীভাবে ন্যায়বিচারের কথা বলা হচ্ছে?''