সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা গণহত্যা পরিকল্পিত। এই বর্বরতার নেপথ্যে বার্মিজ সেনা। নারকীয় হত্যালীলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হোক। আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাতে এই দাবি জানালেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি।
[পাক নির্বাচন কালিমালিপ্ত, ভোটে হেরে সেনা ও ইমরানের বিরুদ্ধে সরব নওয়াজ]
বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ নিয়ে একটি আলোচনায় উপস্থিতি ছিলেন পম্পেও ও আলি। সেখানেই রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করা হচ্ছে। এর জন্য দায়ী বার্মিজ সেনা। এই নারকীয় ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওয়াত আনা চাই। উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে আগেই সু কি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে আমেরিকা। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন সমালোচনায় বিচলিত নয় মায়ানমার। শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-সহ একাধিক দেশ শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার জন্য চাপ বাড়িয়েছে নাইপিদাওয়ের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, গণতন্ত্রের আড়ালে মায়ানমারের শাসন রয়েছে সামরিক জুন্টার হাতেই। আর জুন্টাকে পরোক্ষে সমর্থন দিচ্ছে চিন। ফলে বিশ্বমঞ্চে কাউকেই তোয়াক্কা করছে না মায়ানমার।
রাখাইন প্রদেশে ভয়াবহ ঘটনার প্রায় এক বছর হতে চললেও তিমিরেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ। ঢাকা ও নাইপিদাও শরণার্থী প্রত্যর্পণের চুক্তি করলেও তা খাতায় কলমেই সীমাবদ্ধ। চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে নাইপিদাও। এর ফলে তিমিরে শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ। নিজেদের ভিটেমাটি খুইয়ে বিদেশে অনাহুতের জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপে বিপন্ন বাংলাদেশের অর্থনীতি। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা। শরণার্থী শিবিরে আনাগোনা বেড়েছে জঙ্গিদের। সব মিলিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাইছে হাসিনা সরকার।
[মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ধর্মীয় সংগঠনের]
The post রোহিঙ্গা গণহত্যায় বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আবেদন বাংলাদেশের appeared first on Sangbad Pratidin.