সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। অতএব, বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির কোনও প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান সংবিধান সংক্রান্ত মামলায় বাংলাদেশ হাই কোর্টে একথা বলেন।
এদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন ইউনুস সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০১১ সালের ৩০ জুন হাসিনা সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করিয়েছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছিল সেখানে। কী ছিল সেই বদল?
১৯৭২ সালে মুজিবুর রহমান জমানায় যে সংবিধানে তৈরি হয়েছিল, সেখানে 'জাতীয়তাবাদ', 'সমাজতন্ত্র', 'গণতন্ত্র' এবং 'ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দগুলি ছিল। এর পর জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল হুসেন মহম্মদ এরশাদের আমলে ‘কোপ’ পড়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতায়। যদিও ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে ওই চারটি বিষয়কে ‘মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি’ হিসাবে গুরুত্বের সঙ্গে ফেরানো হয়েছিল। 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা' পাওয়া বাংলাদেশ জিয়াউর, এরশাদের পথে হেঁটে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সাফ জানান, আজ আর ২এ ধারার 'ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটা রাখার প্রয়োজন নেই। কারণ এই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। পূর্বে আল্লার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। (সংশোধনীর) আগে যেভাবে ছিল, সে ভাবেই তা বহাল হোক। উল্লেখ্য, ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গায় মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সওয়াল করেন অ্যাটার্নি জেনারেল। এমনকী ৯এ ধারার 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আসাদুজ্জামান।