সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্নানের জন্য রাখা গরম জলে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল চট্টগ্রামের (Chittagong) ৪ বছরের এক শিশুর। কাজিমুল হাবিব নামের ওই শিশুটির শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। গত রবিবার দুপুরে সে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তিনদিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পরে বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, ঘটনার আগে শিশুটি তার বাবার সঙ্গে খেলছিল। সেই সময় শৌচাগারে ছিল তার মা। হঠাৎই সে রান্নাঘরে যায় মাকে খুঁজতে। সেখানে গিয়ে স্নানের জন্য রাখা গরম জলের বালতিতে হাত দেয় ছোট্ট কাজিমুল। আর তখনই বালতিটা তার ধাক্কায় মেঝেতে পড়ে যায়। সেই জলেই ঝলসে যায় কাজিমুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন। অবশেষে বুধবার থেমে গেল একরত্তির লড়াই। মৃত্যু হল শিশুটির।
[আরও পড়ুন:বাংলাদেশে স্কুলছাত্রীকে হোটেলে বন্দি করে লাগাতার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত আশিক]
চট্টগ্রামের বুড়িশ্চর বাজার এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন ও সৈয়দা তিশা আখতার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বাসিন্দা। গত নভেম্বরে তাঁরা বাংলাদেশে (Bangladesh) আসেন। আচমকাই এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনায় শোকের আবহ তৈরি হয়েছে এলাকায়।
বুধবার দুপুরে মৃত শিশুর দেহ নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন ওই দম্পতি। কাজিমুলের মামা সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছে, মা’কে রান্নাঘরে খুঁজতেই অতর্কিতে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে ছোট্ট ছেলেটি। তার বাবা সেই সময় অন্য ঘরে ছিল। চোখের পলকে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।