সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু মন্দিরে (Hindu Temple) হামলা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবেড়িয়ে জেলার একটি মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালান এক দুষ্কৃতী। একাধিক মূর্তি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মন্দিরে হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকাবাসীর সাহায্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমনে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবেড়িয়ার নিয়মাতপুর গ্রামে রয়েছে ওই দুর্গমন্দির। অভিযুক্তের নাম খলিল মিঞা। জেলার পুলিশকর্তা মহম্মদ সাখোয়াত হুসেন জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কেন তিনি এই ঘটনা ঘটালেন তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার বাসিন্দারা সক্রিয় হন। অভিযুক্ত ধরতে পুলিশকে সাহায্য করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস! ‘রোজগার মেলা’ থেকে তোপ মোদির]
নিয়ামতপুর সার্বজনিন দুর্গামন্দিরের প্রেসিডেন্ট জগদিশ দাস জানান, মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও অভিযুক্ত খলিল মিঞাকে পুলিশ দ্রুত গ্রেপ্তার করায় রাগ পড়ে। জানা গিয়েছে, নিয়ামতুপরে বোনের বাড়িত এসেছিলেন খলিল। যদিও বৃহস্পতির রাতে এই ঘটনা কেন ঘটালেন তা স্পষ্ট নয়। গ্রামের হিন্দুদের দাবি, দুর্গামন্দিরের একটি মূর্তি ভাঙা হয়েছে, কেউ কেউ দাবি করেছেন, পাঁচটি মূর্তিতে ভাঙচুর চালান দুষ্কৃতী।
[আরও পড়ুন: NDA-তে দলের সংখ্যা ৩৮ থেকে বেড়ে ৪০! আরও দুই জোটসঙ্গী বাড়ানোর পথে বিজেপি]
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মন্দির কমিটি। প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, গোটা ঘটনার দ্রুত তদন্ত হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে।