সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক, ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে ও প্রাক্তন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহম্মদ সাইফুল ইসলাম সরকার, সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসিউদ্দিন, সচিব মহম্মদ শহিদউল্লা খন্দকার, রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের পিএ মহম্মদ আনিসুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কবির-আল-আসাদ, তন্ময় দাস, মহম্মদ নাসিরউদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মহম্মদ নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মহম্মদ হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং শরিফ আহমেদ।
জানা যাচ্ছে, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামি লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তারপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।