সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে নৈরাজ্যের নতুন নজির। এবার গভীর রাতে খোদ ঢাকা শহরে মহম্মদ ইউনুসের অনুগামী ‘ছাত্র-জনতা’ দরজা ভেঙে ঢুকল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের পুত্র তানভীর ইমামের স্ত্রীর বাড়িতে। ছাত্র-জনতা অভিযোগ করে, ওই বাড়িতে তল্লাশি চালালে অন্তত ২০০ কোটি টাকা মিলবে। আরও দাবি, ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আওয়ামি লিগের নেতারা। চমকে দেওয়া কাণ্ড হল, 'ছাত্র-জনতা' এই অভিযান সম্পর্কে পুলিশকে জানায়নি। অথচ ডাকা হয় টিভি চ্যানেলগুলিকে। সোশাল মিডিয়াতে লাইভ সম্প্রচার হয় তাণ্ডবের!
অভিযোগ, একাধিক চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে জনতা। শুরু হয় লুটপাট। নীতি পুলিশির নামে দামি সামগ্রী ডাকাতি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও লুটেরাদের আটকায়নি তারা। বরং তাদের কাছে ওই দুষ্কৃতীরাই এসে অভিযোগ জানায়--- "ভেতরের ঘরে যান থরে থরে টাকা মিলবে", "দোতলায় গেলেই সবাইকে ধরতে পারবেন"। যদিও বাড়িতে ছিলেন এক মহিলা ও তাঁর শিশুসন্তান। মহিলা মিনতি করেন, “এখানে কেউ লুকিয়ে নেই। বাড়িতে কোনও পুরুষ মানুষও নেই!”
ঢাকার অভিজাত গুলশান-২ এলাকায় দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই অরাজকতা। রাতভর সরকারি বাহিনীর সামনে দুষ্কৃতীদের এই লুটপাট ও আস্ফালন সম্প্রচার হয় টিভি, ফেসবুকে ও ইউটিউবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ তিন দুষ্কৃতীকে ধরেও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়। যেহেতু ধৃতরা সরকার সমর্থক। পরে বাহিনী বাড়িতে ঢুকলেও টাকার পাহাড় মেলেনি। কেউ সেখানে লুকিয়েও ছিল না। খালি হাতেই ফেরে পুলিশ ও সেনা। এই ঘটনায় উদ্বেগে ভুগছেন ঢাকা নগরির বিশিষ্টজনদের অনেকেই, যাঁরা ইউনুসের ঘনিষ্ঠ নয়। প্রশ্ন উঠছে, এবারে কার পালা?
এদিকে ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হতেই প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া বিভাগের তরফে দাবি করা হয়েছে, গুলশনের ওই হামলার ঘটনা আসলে বাড়িটির প্রাক্তন কেয়ারটেকারের চক্রান্ত। অভিযুক্ত ব্যক্তি, তাঁর ছেলে ও আর এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর পরেও প্রশ্ন উঠছে, দুই বাহিনীর সামনে কীভাবে লুটপাট চলল? সেই জবাব দিতে পারেনি সরকার মহল।
