সুকুমার সরকার, ঢাকা: উৎসবের মরশুমে ফের সুখবর। বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আরও ১৮ টন ইলিশ (Hilsa) রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বাংলাদেশী ৪টি ট্রাকে করে ১৮ টন ইলিশের চালান এসে পৌঁছয় বেনাপোল বন্দরে।
কাস্টমস ও বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেন। বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মহম্মদ আশওয়াদুল হক জানান, দুর্গাপুজো উপলক্ষে এর আগে ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকায় তা পাঠানো যায়নি। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশের অবশিষ্ট চালানগুলো বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের ওজন এক থেকে দেড় কেজি। ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার নেপথ্যে পাকিস্তান, তোপ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদের]
এর আগে কথা ছিল ঢাকা ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠাবে। গিয়েছিল ১০৮৫ মেট্রিক টন ইলিশ। ইলিশের প্রজনন মরশুম বলে ২২ দিন ইলিশ ধরাও বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশে। তখন থেকেই সুখবরের অপেক্ষায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। মঙ্গলবারই ঢাকার সচিবালয় জানিয়ে দেয়, আবার কিছুটা ইলিশ পাঠানো সম্ভব। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৪ হতে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ মাছ ধরা, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানগুলি অনুমোদনকৃত ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। তাই অনুমোদিত অবশিষ্ট ৩ হাজার ৪৯১ টন ৭২০ কেজি ইলিশ রপ্তানি আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে পাঠানো হবে।
সামনেই দীপাবলি। আর তারপরই ভাইফোঁটা। ভোজনরসিক বাঙালির ইলিশ প্রেমের কথা কারও অজানা নয়। তাই মন চাইলে ভাইয়ের পাতও সাজিয়ে দিতে পারেন রূপোলি শস্য দিয়েই। যা বিশেষ দিনে আপনার ভাই বা দাদাকে আরও বেশি খুশি করে তুলতে পারে।