shono
Advertisement

Breaking News

ভারতের সঙ্গে ‘রক্তের সম্পর্ক’, চিনা বিদেশমন্ত্রীর সফরের পরই বার্তা বাংলাদেশের

পড়শি দেশে বেজিংয়ের গতিবিধিতে সাউথ ব্লক যে যথেষ্ট সন্দিহান তা স্পষ্ট।
Posted: 11:11 AM Aug 09, 2022Updated: 01:06 PM Aug 09, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশকে কাছে টানতে তৎপর চিন। সম্প্রতি জল্পনা উসকে ঢাকা সফরে আসেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এই গোটা ঘটনাবলির উপরই অত্যন্ত তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ভারত। পড়শি দেশে বেজিংয়ের গতিবিধিতে সাউথ ব্লক যে যথেষ্ট সন্দিহান তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে ‘রক্তের সম্পর্ক’ রয়েছে বাংলাদেশের। চিনের সঙ্গে সখ্যতায় এতে কোনও প্রভাব পড়বে না।

Advertisement

গত রবিবার চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ওই বৈঠকে হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এক চিন নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ চিনের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে মূল্যায়ন করে।” শুধু তাই নয়, চারটি চুক্তিও স্বাক্ষর করে দুই দেশ। আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সন্দিহান হয়ে উঠেছে ভারত। কূটনীতির পর্দার আড়ালে নয়াদিল্লির সেই উদ্বেগের বার্তা যে ঢাকায় পৌঁছেছে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। ভারত সরকার ও জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে সহায়তা করেছে সেটা বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, তততিন রক্তের অক্ষরে লেখা থাকবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যে উচ্চতায়, সে সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কারো সম্পর্ক তুলনীয় নয়।”

[আরও পড়ুন: কূটনৈতিক জয় ভারতের, পাকিস্তানি রণতরীকে নোঙর ফেলতে দিল না বাংলাদেশ]

এদিন চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “চিন আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং উন্নয়নে অংশীদার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সহায়তা আছে। এ দেশে তাদের কর্মচারী-আধিকারিকরা কাজ করছেন। বন্ধু দেশ হিসেবে চিন যে কোনও প্রস্তাব দিতে পারে। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নীতি হচ্ছে আমাদের বিদেশনীতি। আমি কখনও মনে করি না রক্তের অক্ষরে লেখা সম্পর্কে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।”

উল্লেখ্য, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও কৌশলে চিনা (China) ‘ঋণের ফাঁদ’ এড়িয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, নতুন কোনও পরিকাঠামো তৈরি করতে বা প্রকল্পের সূচনা করতে এখনই বেজিংয়ের কাছ থেকে কোনও অর্থ নিতে রাজি নয় ঢাকা। দুই দেশের মধ্যে যে সমস্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার প্রায় সবক’টিই শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান সংক্রান্ত। ফলে তাইওয়ান ইস্যুতে চিনের পাশে দাঁড়ালেও কোনওভাবেই ঋণের ফাঁদে পা দিতে নারাজ বাংলাদেশ তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: হাসিনার প্রকল্পে স্বীকৃতি, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে এল আমেরিকা ও কানাডা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement