সুকুমার সরকার, ঢাকা: সব ঠিক থাকলে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। হাসিনা সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ‘ভোটসন্ত্রাস’ ও মানবাধিকার ‘হনন’ নিয়ে সরব হয়েছে আমেরিকা। এই প্রেক্ষাপটেই ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের অসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গে বৃহস্পতিবার ঢাকার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই আমি রাজনীতি করি। আর ভোটে কারচুপি করে বিএনপি। তারাই ভোট চুরি করে। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।”
দেশে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমের দেশগুলির নানা তৎপরতার মধ্যে মার্কিন আমলাদের এই সফরকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সরকার পতন ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে এই মুহূর্তে দেশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দলও। আগামী নির্বাচনে সংস্থাটি পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটি এই দলের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এবার প্রকাশ্যে কাজিয়ায় জড়াল আমেরিকা-রাশিয়া]
এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এসেছেন আজরা জেয়া। সঙ্গে রয়েছেন মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডনাল্ড লু এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলী কৌর। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মানবাধিকার, শ্রমিক অধিকার, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকট রয়েছে তাদের সফরের আলোচ্য সূচিতে। আমেরিকা এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা সে দেশের ভিসা পাবে না। দেশটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে দুই পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি, দুই দেশের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।