সুকুমার সরকার, ঢাকা: তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় আমেরিকা! এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতী ব্রিটেন সফরে বিবিসি-কে দেওয়া হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছে জল্পনা।
বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালডা হাকিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো চায় না যে আমি ক্ষমতায় থাকি। সেজন্য তারা বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিবিসি জানতে চেয়েছিল র্যাবে উপর কেন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “যে বাহিনীর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেটা তাদের পরামর্শেই ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাদের সব প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম আমেরিকা দিয়েছে। যেভাবে তারা এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তারা সেভাবেই কাজ করছে বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিল? এটা আমার কাছেও বিরাট এক প্রশ্ন। আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়ত গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি।”
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে গুলির লড়াই, নিকেশ রোহিঙ্গা জঙ্গি]
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিচার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলি সরকারের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র্যাবের সমালোচনায় সরব। ২০২১ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনার সঙ্গে র্যাব ও এর ছ’জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানায়।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (RAB) সাত আধিকারিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় আমেরিকা। এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। ওয়াশিংটন বরাবরই বলে আসছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বেশ ‘জটিল’। শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকারে বলেন, এক সময় সন্ত্রাসবাদ সব দেশের জন্যই সমস্যা হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে সরকার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এরপর মাত্র একটি ঘটনা (হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা) ঘটেছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছে।