সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ক্রমশই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা। মানবিকতার নজির গড়ে বিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপের মুখে পড়ে উন্নয়নশীল দেশটির অর্থনীতি। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার। এই সংক্রান্ত চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে ঢাকা ও নাইপিদাওয়ের মধ্যে। তবে প্রতিশ্রুতি দিলেও শরণার্থীদের ফেরাতে লাগাতার টালবাহানা করছে সু কি সরকার। ফলে এবার আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[চার্জে বসাতেই বিস্ফোরণ চিনা ফোনে, চোখ-আঙুল খোয়াল নাবালক]
ভ্যাটিকান সিটির সেক্রেটারি অফ স্টেট, কার্ডিনাল পিয়েট্রো প্যারোলিনের সঙ্গে এক বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তিনি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎস মায়ানমারে, এর সমাধানও বের করতে হবে মায়ানমারকেই। শরণার্থীদের ফের পাঠাতে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিন সু কি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন হাসিনা। কার্ডিনাল পিয়েট্রোকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভিটেমাটি হারানো রোহিঙ্গাদের ফের নিতে টালবাহানা করছে মায়ানমার। শরণার্থী সমস্যার সমাধানের পথে হাঁটতে চাইছে না সু কি সরকার। এই বষয়ে একাধিকবার আলোচনা করা হলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি নাইপিদাও থেকে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ও নাইপিদাওয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও রাখাইন প্রদেশে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। তাঁদের অভিযোগ, ফিরে গেলে ফের তাঁদের উপর নারকীয় অত্যাচার শুরু করবে বার্মিজ সেনা ও মগ দস্যুরা। কোনওমতে প্রাণে বাঁচানোর পর ফের আততায়ীদের হাতের নাগালে যেতে নারাজ তাঁরা। ভ্যাটিকানের প্রতিনিধির সঙ্গে এই বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তাঁর সংযোজন, শরণার্থীদের সুরক্ষিতভাবে পুনর্বাসনের পরিবেশ তৈরি করুক মায়ানমার সরকার। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তিনি সাফ জানান, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা কোনও কারণেই মেনে নেওয়া হবে না। অন্য দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে করতে দেওয়া হবে না সন্ত্রাসবাদীদের। ওয়কিবহাল মহল মনে করছে, রোহিঙ্গা সমস্যায় ভারতকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরোক্ষ বার্তা দিয়েছেন হাসিনা।
[প্রথম শ্রেণির বন্দি হলেও সাধারণ কয়েদির বেশে জেলে খালেদা জিয়া]
The post রোহিঙ্গা সমস্যায় আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি হাসিনার appeared first on Sangbad Pratidin.
