সুকুমার সরকার, ঢাকা: মহামারী করোনার (Coronavirus) বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই কুড়িটির বেশি দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খবর, ইউরোপীয় দেশ হাঙ্গেরি এখনও কোনও প্রতিষেধক পায়নি। তাই করোনা টিকা চেয়ে তারা আবেদন করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছে। শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়র আলম এ কথা জানিয়েছেন। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, হাঙ্গেরি ৫ হাজার ডোজ করোনা প্রতিষেধক চেয়েছে। প্রশাসনের অনুমতিক্রমে তা পাঠানো হবে হাঙ্গেরিতে।
এই মুহূর্তে করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড পাঠানো হয়েছে সে দেশে। গত সপ্তাহে তা ঢাকায় পৌঁছনোর পর বাংলাদেশের ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমতি সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হওয়ার কথা গণটিকাকরণ। এদিকে, চিনা সংস্থা সিনোভ্যাকের কাছ থেকেও প্রতিষেধক নেবে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় হাঙ্গেরিকে (Hungary) কীভাবে ভ্যাকসিন (Corona vaccine)দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়র আলম জানিয়েছেন, হাঙ্গেরির আবেদন মেনে ৫ হাজার ডোজ পাঠানো হবে। বলিভিয়াও টিকার জন্য আবেদন করেছে। তবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলোচনা করে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
[আরও পড়ুন: সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠাল বাংলাদেশ সরকার]
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শাহরিয়র আলম খানিকটা ক্ষোভের সুরেই জানান, বাংলাদেশ ঘন জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন যে করোনা প্রতিরোধে তারা অনেকটা পিছিয়ে যাবে। সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুজবও রটানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। কিন্তু সমালোচকদের সকলের আশঙ্কা মিথ্যে করে করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সেখানে সংক্রমণ অনেক কম। এরপর টিকাকরণ শুরু হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে মনে করেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। মহামারীকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী কয়েকটি সিদ্ধান্ত, নির্দেশিকাতেই এতটা সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।