সুকুমার সরকার, ঢাকা: আন্তর্জাতিক মঞ্চের সমালোচনা উড়িয়ে ফের একশো পঞ্চান্ন জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। রবিবার কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে সমুদ্রের মাঝে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পাঠানো হয় শরণার্থীদের।
প্রশাসন জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে নোয়াখালির দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে আরও ১৫৫ জন রোহিঙ্গাকে। এটা ভাসানচরে এক লক্ষ শরণার্থীকে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ। এনিয়ে ওই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আশ্রয় কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ হাজার ৪৩৫ জন। বলে রাখা ভাল, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউরোপের বেশকিছু দেশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুরুর দিকে প্রবল আপত্তি করলেও এখন কিছুটা শুর নরম করেছে আমেরিকা। এই বিষয়ে হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের কটাক্ষ, ভাসানচরে উন্নতমানের হোটেল না থাকায় তারা এর বিরোধীতা করছেন।
গতকাল রবিবার বিকেলে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে রোহিঙ্গারা (Rohingya) ভাসানচরে পৌঁছন। এদিন দুপুরে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামের বোটক্লাব থেকে রওনা দেয় জাহাজগুলি। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ টুনা, তিমি ও পেঙ্গুইনে ৯১৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছেন ৪৫ পরিবারের ১৫৫ জন, বেড়াতে গিয়েছেন ৬৩৩ জন ও আগে বেড়াতে গিয়ে ফেরত এসেছেন ১২৬ জন রোহিঙ্গা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাহাড়ে সন্ত্রাসের মেঘ, জঙ্গিযোগে গ্রেপ্তার সাংবাদিক]
ভাসানচর ক্যাম্প ইনচার্জ মহম্মদ তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকেলে রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীকালে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। স্বেচ্ছায় রবিবার ৪৫টি পরিবারের ১৫৫ জন অর্থাৎ ৪২ জন পুরুষ, ৫৮ জন নারী ও ৫৫ শিশু ভাসানচরে গিয়েছেন।