সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফটার শকের ধাক্কায় ভূমিকম্প আতঙ্ক কাটছে না মায়ানমারে। শুক্রবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়েছে দেশটি। শনিবার ফের কেঁপে উঠেছে বিধ্বস্ত অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। গতকাল কেঁপে উঠেছিল ঢাকা-সহ বাংলাদেশেরও একাধিক অঞ্চল। কিন্তু এবার নাকি বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য! মায়ানমারের মতো একই ধরনের বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ।

জানা গিয়েছে, আজ শনিবার বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৭ । এই বিপর্যয়ের জেরে দুটি দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশেও একই ধরনের বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহের ঝুঁকি অনেক বেশি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন তৈরি করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো ভবনগুলোর সংস্কার করতে হবে। বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোয় অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
এছাড়া নাগরিকদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, গ্যাস, জল ও বিদ্যুতের লাইন ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর নিয়ে রাখতে সকল নাগরিককে। জরুরি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যেমন টর্চ, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হেলমেট, শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসও ঘরে মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এখন পড়শি দেশের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দেখে ভয় ধরছে বাংলাদেশিদের মনেও।
এদিকে, মায়ানমারে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মৃত্যু হয়েছে ১০০০-এর বেশি মানুষের। আহত প্রায় ৩০০০ জন। আফটার শকের জেরে উদ্ধারকাজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছানোও কঠিন হচ্ছে। ইতিমধ্যে পড়শি দেশে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত। এই দুঃসময়ে মায়ানমারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সহায়তা পাঠিয়েছে রাশিয়া-চিনও।