সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদের শাস্তি। তাঁর ভবনের সামনে মহিলাকে বেধড়ক মার 'বিপ্লবী' ছাত্রদের। আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে আর্তনাদ করতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি কেউ। দেখা মেলেনি পুলিশেরও।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’প্রথমেই মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে শুরু হয় ভাঙচুর। ৯টার একটু আগে থেকেই দেখা যায় তিনতলা জ্বলছে। বৃহস্পতিবার সকালেও ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ করেন এলাকার এক মহিলা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেলা ১১ টা নাগাদ ওই মহিলা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে গিয়ে বলেন, "আপার বাড়ি ভাঙতেছে।" এরপরই ছাত্রদের রোষানলে পড়েন মহিলা।
জানা গিয়েছে, মুজিবর রহমানের বাড়ির সামনে বেধড়ক মারধর করা হয় মহিলাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। কিন্তু সেখানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, মুজিবের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডিতে হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রাত ১২টার সময় ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার বিভিন্ন কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
