সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণ আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। আপাতত তিনি রয়েছেন ভারতে। কিন্তু দেশত্যাগের পর থেকে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে হাসিনার বিরুদ্ধে। তার জেরে এবার মুজিবকন্যাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন এমনটাই জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে খুন, অপহরণ-সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের বহু প্রাক্তন মন্ত্রী ও আওয়ামি লিগের শতাধিক নেতা-কর্মী। এই মামলাগুলোর সংখ্যা এবার দীর্ঘ হচ্ছে। তাই স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রালয় সিদ্ধান্ত নিলে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য দিল্লির কাছে আবেদন করবে ঢাকা। এদিন সেনিয়েই তৌহিদ বলেন, "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা। যদি দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে দিল্লির কাছে অনুরোধ করা হবে। এটা ভারত সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি। ভারত বিষয়টি জানে। আমরা নিশ্চিত তারা এই বিষয়ে যত্নবান হবে।"
[আরও পড়ুন: সরকারি ছুটি বাতিল, তবু হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বহু জায়গায় পালিত মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী]
বাংলাদেশের সম্ভাব্য নির্বাচন কবে হবে সেই প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ বলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের টাইমলাইন সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ আরও স্পষ্ট হবে। এখন উপদেষ্টা পরিষদের সবাই দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ভীষণ ব্যস্ত। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তৌহিদ। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে অনেক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এখন আর তাঁদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভারত-সহ অন্য দেশগুলোকে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বলে রাখা ভালো, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের। এখন দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার বিক্ষোভ চলাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই নয়া সরকার। হাসিনার ও আওয়ামি লিগের নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেগুলোরও বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে।