shono
Advertisement
BNP

প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বাড়ছে ধর্ষণ, মাগুরার নির্যাতিতা শিশু মৃত্যুতে ইউনুস সরকারের দায়ী বিএনপির!

শুক্রবার সকালেও অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 06:14 PM Mar 14, 2025Updated: 07:28 PM Mar 14, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮ দিনের লড়াই শেষ। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে মাগুরার নির্যাতিতা নাবালিকার। তারপর থেকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বাড়ি দফায় দফায় ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। এই পরিস্থিতিতে মহম্মদ ইউনুসের সরকারের দিকে আঙুল তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। 

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ৬ মার্চ। ওইদিন সকালে বাংলাদেশের মাগুরার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্য়ালে নিয়ে যায় পরিবার। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার করা হয় ঢাকা মেডিক্যালে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে নারকীয় ঘটনা। জানা যায়, দিদির শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ৮ বছরের ওই নাবালিকা। সেখানে বোনের শ্বশুর, ভাসুর ও নাবালিকার জামাইবাবু তাকে ধর্ষণ করে। নাবালিকা আর্তনাদ করলে তার গলা টিপেও ধরে। কিন্তু বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যায় নাবালিকা। সেই থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিল সে। বৃহস্পতিবার সকালে একবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয় তার। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। দুপুরে ফের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’, এবারে সিপিআর দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ১ টায় নির্যাতিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিজের বাড়িতেই কবর দেওয়া হয় শিশুটি। ক্ষোভে ধর্ষণে অভিযুক্ত লিটু শেখ ও তার ছেলের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

তারপরই এক বিবৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়েছে ধর্ষণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মানসম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বাদ পড়ছে না একরত্তি শিশুও। দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আজ শুক্রবার সকালেও অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বাড়ির মূল কাঠামো ভাঙার পাশাপাশি সেখান থেকে গাছপালাও কেটে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে কয়েকটি দেওয়াল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। এদিকে, আজ মাগুরায় মৃত শিশুর বাড়িতে যান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরিবারটির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে দাবি করছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসও। তিনি শিশুটির মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আফরোজা বলেন, "এমন ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। শুরু থেকেই আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা শিশুটির ন্যায়বিচারের পক্ষে মাঠে নেমেছি। আমরা চাই, এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে। একই সঙ্গে আমরা পরিবারটিকে সহযোগিতা করছি। আমাদের দল শিশুটির পরিবারের পাশে আছে।" প্রসঙ্গত, গতকাল ইউনুস সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, নাবালিকার ময়নাতদন্ত করা হবে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সাতদিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে মাগুরার নির্যাতিতা নাবালিকার।
  • তারপর থেকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বাড়ি দফায় দফায় ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা।
  • ইউনুসের সরকারের দিকে আঙুল তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। 
Advertisement