shono
Advertisement

মার্কিন সমালোচনায় চাঙ্গা বিএনপি, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ নয়

অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।
Posted: 04:42 PM Jan 21, 2024Updated: 04:48 PM Jan 21, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ভোট বয়কটের পথে হাঁটছে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান বিরোধীদল তথা প্রাক্তন শাসকদল খালেদা জিয়ার (Khaleda) বিএনপি। তাদের একটাই কথা, তদারকি সরকারের অধীনে ছাড়া বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনও নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তাদের ভাষায় ‘একতরফা ও ডামি নির্বাচন’ বাতিল করে শিগগির নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। বিশেষ করে বাংলাদেশের সদ্য নির্বাচনে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শুক্রবার করা মন্তব্যে চাঙ্গা বোধ করছে বিএনপি (BNP)। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বয়কট করছে।

Advertisement

গত ১০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন হাইকমিশনার পিটার হাস। নব নির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিল আমেরিকা (US)। কিন্তু এবার উলটো সুর শোনা গেল মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের মুখে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদকে স্বীকৃতি দিলেন না তিনি। বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়নি বলে তোপ আমেরিকার। নির্বাচনী আবহে বিরোধী দলের বহু নেতা, কর্মীদের জেলবন্দি থাকা খুব অভিপ্রেত বিষয় নয় বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন (Washington DC)। সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাথিউ মিলার বলেন, “বিরোধী দলের হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবর মিলেছে। এনিয়ে আমরা এখনও উদ্বিগ্ন। আমাদেরও মতামত হল, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।”

[আরও পড়ুন: দুই নারী! SFI-এর কলকাতা জেলার শীর্ষ পদে এলেন বর্ণনা, দীধিতি]

তবে বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বয়কটের কথা বললেও কৌশলী শাসকদল আওয়ামি লিগ। এক্ষেত্রে দুই ধরনের চিন্তাভাবনা চলছে দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের মধ্যে। বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনে এলে গতবারের মতো এবারও নৌকা প্রতীকে দলীয় প্রার্থী নিয়ে ভোটের মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন দলটি। সরকার বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করলে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন দলের সব নেতার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন দিয়েও অন্য সবার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: কমোড লাগবেই! জেলে অদ্ভুত ‘আবদার’ শংকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement