নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: এবার মামলায় জড়ালেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ আধিকারিক। 'জুলাই যোদ্ধা’ জাহাঙ্গির আলমকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ হাসিবুজ্জামানের আদালতে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর অ্যানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন - জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালুর রহমান সায়েম, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, জাহিদ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী ও সোনিয়া আক্তার লুবনা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী ও ‘জুলাই যোদ্ধা’ জাহাঙ্গির আলম গত বছরের ১৮ জুলাই কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহিদ পরিবারের সহায়তায় এই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। চলতি বছরের ২৭ মে দুপুরে জাহাঙ্গির আলম অনুদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। অভিযোগ, সেখানে আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁরা জাহাঙ্গিরকে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে মারধর শুরু করেন। জিআই পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর আবারও তাঁকে নির্যাতন করা হয় এবং ‘ভুয়া জুলাই যোদ্ধা’ বলে স্বীকারোক্তি আদায়ে চাপ দেওয়া হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ও ছবির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জনৈক বিএনপি নেতার সঙ্গে ছবি তোলার কারণ জানতে চান। এরপর তাঁর হাতে ইঞ্জেকশন পুশ করে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ খানপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা হয় জাহাঙ্গিরের। এরপর বেশ কয়েকমাস পর এনিয়ে মামলা দায়ের হল এবং অভিযুক্ত হিসেবে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনেরই ১০ জন আধিকারিককে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
