সুকুমার সরকার, ঢাকা: জোড়া ধাক্কা বাংলাদেশবাসীর। বিদ্যুতের পর দাম বাড়ল গ্যাসের। শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে খবর। তবে বাড়িতে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস ও পরিবহণের জন্য সিএনজির (CNG) দাম বাড়েনি। ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা। একই মাসে দুই ক্ষেত্রেই এই দামবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে চাপ বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।
বুধবার বাংলাদেশের (Bangladesh) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্যাসের দামবৃদ্ধির খবর ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বৃহৎ শিল্পে ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় তিনগুণ দাম বেড়েছে। শিল্পের জন্য উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ১৬ টাকা, তা অপরিবর্তিত। এছাড়া মাঝারি শিল্পে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির দূতরা এলে ঝাঁটা হাতে রুখে দাঁড়ান’, ফের বেলাগাম বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা]
চা বাগানের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা অর্থাৎ অপরিবর্তিত থাকছে। হোটেল ও রেস্তরাঁ খাতে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকদের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউনিট প্রতি দাম দিতে হবে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। আগে দিতে হতো ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা। গ্যাস সংকট নিয়ে গত কয়েক মাস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। উৎপাদন খরচ বাড়লেও শিল্প বাঁচাতে ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ২৫ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হন ব্যবসায়ীরা। তবে তাঁরা নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের নিশ্চয়তা চান। তাঁদের দাবি, দাম বাড়িয়ে গ্যাস না দিলে শিল্প খাতে ধ্বংস হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘BJP-NPP জোটকে পরাস্ত করবে তৃণমূলই’, মেঘালয়ে নির্বাচনী প্রচারে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক]
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (PDB) দুই কর্মকর্তা জানান, গত ডিসেম্বর থেকে পাইকারি দাম বাড়ানোর পরও লোকসান করছে সংস্থাটি। এবছর ১৭ হাজার কোটি টাকা ভরতুকি (Subsidy)বরাদ্দ করেছে সরকার। বর্তমান দামে কয়লা, জ্বালানি তেল-সহ সব জ্বালানি পেলেও পিডিবির ঘাটতি হতে পারে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এখন গ্যাসের দাম বেড়েছে, তা আরও বেড়ে যাবে। তাই আবার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশের বেশি আসে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।