সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছেন মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু সেই পড়ুয়াদেরই লাঠিপেটা করছে তাঁর পুলিশ। তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের বাসভবন যমুনার দিকে এগোচ্ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিল। যা ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। লাঠিপেটা করা হয় ছাত্রদের। রেয়াত করা হয়নি শিক্ষকদেরও। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে অন্তত ১১ জনের!
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তারপর তাঁরা শিক্ষকদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউজিসিতে যায়। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনও আশ্বাস না পেয়ে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পড়ুয়ারা। আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন-সহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে আজ দুপুর ১২টার পর মিছিল শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে ছাত্রদের লংমার্চ পৌঁছয়। কিন্তু তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। দু'পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ছোড়া হয়। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে চলে যায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাদের দাবি, এই ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরাও রয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ছাত্রদের তিন দফা দাবি হল-
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে। এই দাবিতে ইউনুসের বাসভবনের দিকে যেতে গিয়েই রক্তাক্ত হতে হল ছাত্র ও শিক্ষকদের।
