সুকুমার সরকার, ঢাকা: আমচকা অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন। বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরে আগুনে (Fire) পুড়ে মৃত্যু হল সাতজন আরোহী ও চালকের। রাজধানী ঢাকা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের জেলা ফরিদপুরের ভাঙা থানা এলাকার একটি অ্যাম্বুল্যান্স ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম অ্যাপ্রোচ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তারপর তা দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। খবর পেয়ে ভাঙা থানার দমকল বিভাগের সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করে। দমকল বাহিনী সূত্রে খবর, চালক বছর চল্লিশের মৃদুল মালো বাদে অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা সকলেই ঘটনাস্থলে মারা যান। চালককে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁরও মৃত্যু (Death) হয়।
এই কাণ্ড ঘটার পরে মাদারিপুর রিজিয়ন ও ফরিদপুরের (Faridpur) পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ের সঙ্গে দ্রুত গতির অ্যাম্বুল্যান্সটির (Ambulance) ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনের সামনের অংশ আগুন ধরে যায়। তাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে। সাতজনের মধ্যে চারজনই এক পরিবারের সদস্য।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েতের হাল ফেরাও, গ্রাম বাংলায় লাল ফেরাও’, ভোট চাইতে গান বাঁধল বামেরা]
নিহত বোয়ালমারির গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজার স্ত্রী বছর পঞ্চাশের তসলিমা বেগম, তাঁদের মেয়ে বোয়ালমারির শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগিরের স্ত্রী কমলা, কমলার তিন শিশু সন্তান আরিফ, হাসিব ও আফসা। এর মধ্যে আফসার বয়স মাত্র ১ বছর। মারা গিয়েছেন সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদের স্ত্রী বিউটি ও বিউটির ছেলে মেহেদী। বিউটির স্বামী মাহমুদ রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের সার্জেন্ট পদে কর্মরত।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে পাঠানো হোক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল, শাহী বৈঠকে দাবি তৃণমূলের]
দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, চালক মৃদুল মালো এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতিতে আঁকাবাঁকাভাবে চার-পাঁচটি মোটর সাইকেল আসতে দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তারপরই অ্যাম্বুল্যান্সটি এক্সপ্রেসওয়ের সড়কে ডিভাইডারের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তবে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।