সুকুমার সরকার ও জ্যোতি চক্রবর্তী: কুলিদের লাগেজ বহন করতে দিতে হবে, ট্রাকচালক ও খালাসিরা পেট্রাপোল (Petrapol) সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) বেনাপোলে যাওয়ার পর একইদিনে ফেরার অনুমতি দিতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিলেন শ্রমিকরা। আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা পেট্রাপোল স্থলবন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি। রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি সোমবারও অব্যাহত। ফলে বন্ধ বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য, যাত্রী পরিবহণ, মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র – সবই। পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে এভাবে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় হাজার হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক। আটকে পড়েছেন বাংলাদেশি যাত্রীরাও।
পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেন৷ সেই যাত্রীদের লাগেজ-সহ একাধিক মালপত্র বহন করে বহু বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন শতাধিক মুটে, মজদুর। ভারতীয় চালকরা ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পর ট্রাকগুলি খালি হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। ফলে তাঁরা ট্রাক রেখে হেঁটে ভারতে ফিরে আসতেন। লকডাউনের পরে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হলেও কুলিদের আর বন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, বাংলাদেশে ট্রাক খালি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকচালকরাও ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ফলে বাংলাদেশে আটকে থেকে সমস্যায় পড়ছেন চালকরা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কাছে করোনা টিকা চাইল হাঙ্গেরি, আবেদন মেনে পাঠানো হচ্ছে প্রতিষেধক]
এটাই প্রথম নয়। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর একই দাবিতে স্থলবন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। শেষে কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে ২২ তারিখই তা উঠে যায়। কিন্তু এবার দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে নামবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। সোমবার দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত তাঁদের কর্মবিরতি। যার জেরে বেশ সমস্যায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এদিকে, পাসপোর্ট অফিস-সহ বিভিন্ন কাজের জায়গাও বন্ধ থাকায় বিপাকে এপারে আটকে পড়া বাংলাদেশিরাও। তাঁরা দেশে ফেরার অপেক্ষা করছেন।