সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে গ্রেপ্তার কুখ্যাত জেহাদি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার ‘আমির’ বা প্রধান। পুলিশের জালে পড়েছে তার তিন শাগরেদও। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও।
সোমবার বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বা র্যাবের জালে পড়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার আমির মহম্মদ আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার হয় ওই জঙ্গি সংগঠনের তিন সদস্য। রবিবার রাতে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জেহাদি বই ও নগদ অর্থ-সহ ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জের (প্রাক্তন বিক্রমপুর) লৌহজং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
[আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা, একাধিক মূর্তি ভাঙচুর! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সংগঠনকে মজবুত করার উদ্দ্যেশ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া। ২০২২ সালে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ, আনসার আল ইসলামের নেতাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরে আনসার আল ইসলামকে শারক্বিয়া ১৫ লক্ষ টাকাও দেয়। চুক্তি অনুযায়ী, শারক্বিয়ার সদস্যদের আইটি ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেয় আনসার আল ইসলাম। আর এর বিনিময়ে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয় শারক্বিয়া।
ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন। রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শারক্বিয়া’র আমির মহম্মদ আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ পার্বত্য অঞ্চলের নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান নাথান বম ও সেকেন্ড ইন কমান্ড বাংচুং-এর সঙ্গে বৈঠক করে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অবহিত করে ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে।”