সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এবার রক কনসার্টে হামলা। যার জেরে পণ্ড রক তারকা জেমস ও তাঁর ব্যান্ডের অনুষ্ঠান। ফরিদপুর জেলা বিদ্যালয়ের ১৮৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। হামলায় বেশ ছাত্র-আয়োজক মিলিয়ে ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, হামলাকারীরা ‘বহিরাগত’।
ঠিক কী হয়েছিল? আয়োজকদের দাবি, ফরিদপুর জেলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষ উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের জন্য ছিল। কিন্তু কয়েক হাজার বহিরাগত দর্শক সেখানে হাজির হয়ে যায়। কিন্তু তাদের ঢুকতে না দেওয়ায় অসন্তোষ বাড়তে থাকে। যদিও বাইরে দুটি প্রজেক্টর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তবুও গোলমাল শুরু হয়ে যায়। এরপরই দেওয়াল বেয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে অনেকে। কিন্তু বাধা পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাথর ছোড়া শুরু হয়। আহত হন ২৫ থেকে ৩০ জন! তবে শিল্পীর কোনও শারীরিক ক্ষতি হয়নি। তিনি ও তাঁর দলের সদস্যরা দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান। তবে আয়োজকরা যাই বলুন, ভিডিও আপলোড করে এক বাংলাদেশি যুবকের দাবি, যারা হামলা চালিয়েছিল তারা চায় না বাংলাদেশে কোনও সঙ্গীতানুষ্ঠান হোক। হামলাকারীরা আদপে জামাত সমর্থক বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ছায়ানট বা উদীচীতে হামলা হয়েছে। এবার হামলা রক তারকা জেমসের অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া হাসিনা-বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন জেমসও। সুর চড়িয়েছিলেন শাসকের বিরোধিতায়। এবার পরিবর্তনের বাংলাদেশে জ্বলে দ্বেষের আগুনের সম্মুখীন হতে হল তাঁকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে প্রবল জনপ্রিয় জেমস। তিনি রক ব্যান্ড 'ফিলিংস' (বর্তমানে যা নগর বাউল হিসাবে পরিচিত)-এর প্রধান গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট। তাঁর জনপ্রিয়তা এদেশেও কম নয়। গ্যাংস্টার (২০০৬), উও লমহে (২০০৬), লাইফ ইন আ মেট্রো (২০০৭) ও ওয়ার্নিং (২০১৩) ছবিতে প্লেব্যাক করেছিলেন তিনি।
